শিবলী সরকার, রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র পদ্মাপাড়। যেখানে প্রতিদিন আগমন বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশী দর্শনার্থীদের। আগত দর্শনার্থীদের সুপেয় পানির সরবরাহের জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) পদ্মাপাড়ে বড়কুটি সংলগ্ন অডভার মুনসক্ গার্ড পার্কে স্থাপন করেছে একটি নিরাপদ খাবার পানির প্লান্ট ‘প্রবাহ’। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে, রাজশাহী উন্নয়নের সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএটি‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম, এই নিরাপদ খাবার পানির প্লান্ট ‘প্রবাহ’ এর উদ্বোধন করেন। প্রবাহ প্রকল্পের মাধ্যমে বিএটি কর্তৃক স্থাপিত প্লান্টের পানির ধারণক্ষমতা ৬ হাজার লিটার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো রাজশাহী মহানগরীকে সবুজায়নের জন্য বিপুল সংখ্যক গাছ উপহার দিয়েছেন। নিরাপদ খাবার পানির প্লান্ট স্থাপনের জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে মহানগরীর বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এমন নিরাপদ খাবার পানির প্লান্ট স্থাপনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো‘কে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিএটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এই শহরের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো সারাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। গত বছর সিটি কর্পোরেশনকে প্রায় ১৮ হাজার গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে। আগামীতে আরো ১২ হাজার গাছের চারা প্রদান করা হবে।
এদিকে দুপুর ১২টায় লালন শাহ মুক্তমঞ্চ এলাকায় বৃক্ষরোপণ করেছেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএটি‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম।
এ সময় রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, পরিবেশ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ভারপ্রাপ্ত সচিব আলমগীর কবির, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর হেড অব লিগ্যাল এন্ড এক্সটার্নাল এ্যাফেয়ার্স মুবিনা আসাফ, হেড অব এক্সটার্নাল এ্যাফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ, এক্সটার্নাল এ্যাফেয়ার্স কনসালটেন্ট আকতার আনোয়ার খান, সিনিয়র সাসটেইনাবিলি এফেয়ার্স ম্যানেজার আহমেদ রায়হান আহসানুল্লাহ, সিএসআর এক্সিকিউটিভ মাহফুজা তাসনিম আরাডিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।