ধামরাইয়ে ব্রীজে ফাটল,মহাসড়কে শৃঙ্খলায়নে কাজ করছে ‘নিসচা

ধামরাই সংবাদ

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে কেলিয়া এলাকায় ব্রীজে ফাটল থাকায় এর মেরামত কাজ চলাকালীন সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন নিরাপদ সড়ক চাই, ধামরাই শাখার সদস্যরা।

শনিবার দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে পূর্বেই ঘোষণা দিয়ে ধামরাইয়ের কেলিয়া ব্রীজের বিয়ারিং গার্ড এর মেরামত কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ বিভাগ।এতে প্রচন্ড যানজট সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের চলাচলকারীরা। তবে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে (সওজ) এর নির্দেশনায় ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌর বাজার এলাকা দিয়ে কালামপুর বাজার হয়ে কাওয়ালীপাড়া ও কালামপুর বাসস্ট্যান্ড দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেন নিসচা কর্মীরা। এতে ক্ষণিকের ভোগান্তি হলেও যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল।

এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই শাখার সভাপতি মোঃনাহিদ মিয়া বলেন, ঢাকা আরিচা মহাসড়ক একটি জাতীয় মহাসড়ক। এটি ব্যস্ততম একটি সড়ক। ১৯৯৫ সালে ডেনমার্ক কেলিয়া ব্রীজটি সংস্কার করার পরে আর সংস্কার করা হয় নি।এর মধ্যে ব্রীজে বিয়ারিং গার্ড ফাটল ধরেছে।তবে অল্প সময়ের মধ্যে এর মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।আর নিসচার কর্মীরা ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেমন কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে, কালামপুর বাজার এলাকা,ধামরাই পৌর বাজার এলাকা,যাত্রাবাড়ি এলাকায় এবং ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিক কার্যক্রম করেছে।

সাভার হাইওয়ে থানা ও গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান,পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এ সংস্কার চলছে পুলিশের পাশা পাশি নিসচা কর্মীরা আমাদের সহযোগিতা করছে শৃঙ্খলায়নে।

উক্ত বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ বিভাগের নয়ারহাট শাখার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ অভি হাসান বলেন,আমরা মেরামতের কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার জন্য। তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিয়ারিং গার্ড এর কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য কয়েক ঘন্টা ঢাকা আরিচা মহাসড়কে কিছু অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে আমরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দেই।

এতে আমাদের সহযোগিতা করেন নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই শাখার সদস্যরা। বিগত দিনে সড়কে সরকারি বিভিন্ন কাজে আমাদের পাশে ছিলেন নিসচার সদস্যরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *