মোঃ সবুজ, ধামরাই(ঢাকা)প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়ন থেকে মকিমপুর হয়ে দ্বিমুখা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলজিইডির রাস্তার পাকা করন কাজ দীর্ঘ আড়াই বছরেও শেষ হয়নি। এছাড়া কাজ সম্পন্ন না করেই কাজ ফেলে রেখে চলে গেছেন ঠিকাদার। বর্তমানে রাস্তাটির কাজ মুখ থুবড়ে আছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে রাস্তা যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। কাজ সম্পন্ন না করেই ঠিকাদার চলে গেছেন। রাস্তাটি সম্পূর্ন হবে কি না সন্দিহান? ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিক মত স্কুলে যেতে পারে না। এছাড়া যেটুকু রাস্তার কাজ করা হয়েছে সেখানে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনায় দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মকিমপুর হয়ে দ্বিমুখা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকড়ন কাজ করার জন্য ২০১৮ সালে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিস থেকে টেন্ডার দেওয়া হয়। সেই টেন্ডারে মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। এই কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি লাখ ৩১ হাজার টাকা প্রায়। এরপর রাস্তাটির কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। রাস্তার অবশিষ্ট কাজ ফেলে রেখে চলে যান ঠিকাদার। বর্তমানে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের কারণে রাস্তা খানা-খন্দে ভরপুর হয়ে মুখ থুবড়ে আছে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পার হলেও রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য খনন করে শুধু মাত্র এজিং দিয়ে ফেলে রাখায় কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। ফলে ক্ষেতের মধ্যে থেকে ফসলসহ কৃষি উপ্তাদিত পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের উত্তর পাশ থেকে বাজারে মালামাল পরিবহন করতে পারছি না আমরা। প্রায় আড়াই বছর ধরে এমন দুরবস্থার মধ্যে থাকলেও কেউ কোনও খোঁজ- খবর নেয়নি। দ্রুত কাজ শেষ করতে সংশিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে রাস্তাটির কাজের ঠিকাদার কাজলকে বারবার মোবাইল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।
এ ব্যাপারে ধামরাই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আজিজুল হক বলেন, কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে তাগিত দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।