মোঃ হুমায়ুনুর রশিদ, ধামরাই (ঢাকা)ঃ ঢাকার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইল এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধার ২১ শতাংশ জমি রাতের আধারে দখলের চেষ্টা ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার (০২ নভেম্বর) দিবাগত রাত বারোটার দিকে আবু সাঈদ নামে কথিত আওয়ামী কর্মীর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলী দেওয়ানের পৈতৃক সম্পত্তিতে দেয়া সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং ওই জমিতে থাকা দুইটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
এঘটনায় রবিবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলী দেওয়ান বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ০৫ জনকে বিবাদী করে একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ১. আবু সাঈদ দেওয়ান,
২. আব্দুর রাজ্জাক, ৩. লিটন দেওয়ান, ৪.তুহিন ৫. আছিয়া খাতুন। এরা সকলেই সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইল এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলী দেওয়ান ধামরাই থানাধীন গাওয়াইল মৌজার আর এস ১৫২,১৫৩ নং খতিয়ানে ১৮৩৭ নং দাগে ২১ শতাংশ জমি পৈতৃক সূত্রে ভোগ দখল করছেন। গত শনিবার উক্ত জমিটির দক্ষিণ পাশে ইট দিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরি করেন। কিন্তু রাত বারোটার দিকে আবু সাঈদ দেওয়ানের নেতৃত্বে সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং বিবাদীকে এবিষয়ে রাস্তায় জিজ্ঞেস করলে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ মারধরের উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
আক্কেল আলী দেওয়ানের ছেলে দেওয়ান মো. আরিফুজ্জামান জানান, আমরা ওয়ারিশ সুত্রে প্রায় ১৫০ বছর ধরে এই জমি ভোগ দখল করছি এবং সমস্ত কাগজপত্র আমাদের নামে। আবু সাঈদরা প্রায়ই আমাদের এই জমি দখল করতে আসে। প্রায় ২০ বার এলাকাবাসীকে নিয়ে এই জমি মাপা হয়েছে একাধিকবার থানায়ও বসা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই তারা আইন মানেন না আমাদের সাথে অযথা ঝগড়ায় লিপ্ত হতে যায়। শনিবার দিনে সকলের উপস্থিতিতে আমরা ইট দিয়ে দেয়াল দেই কিন্তু রাতে তারা এসে দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার জানান, গতকাল দুই পক্ষের উপস্থিতিতেই মাপঝোক হইছে। মাপ শেষ হবার পরে আরিফ ভাইয়েরা দেয়াল দিছে তখন সবাই উপস্থিত ছিলো কেউ বাধা দেয় নাই। রাত এগারোটায় আমার স্বামী দোকান থেকে বাড়ি ফিরেছে তখনও দেয়াল আছে। এই জমি মাপলে সবসময়ই আরিফ ভাইয়েরা পায় কিন্তু সাঈদ ভাইয়েরা শুধু শুধুই এই জমি দাবি করে।
এ ব্যাপারে বিবাদী আবু সাঈদকে ফোন দিলে তিনি জানান, ৭১ নং খতিয়ানে আমার জায়গা যেটা রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করতাম। এ পর্যন্ত ইউএনও অফিস, থানা ও চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে একাধিকবার বসা হইছে কিন্তু তারা কোন সমাধানে আসেন না। তারা আমার জায়গা আমাকে বুঝিয়ে দেন না। তারা বারবার বেড়া ও দেয়াল দেন।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।