মো:হুমায়ুন রশিদ, ধামরাই ঢাকা থেকে:ঢাকার ধামরাইয়ে ফরিঙ্গা গ্রামে ব্যাক্তিমালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে রাস্তাতৈরিতে বাঁধা দেওয়ায় মোঃআজমত আলী (৫৫) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে পলাশ মোল্লাসহ তার চাচাদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১১সেপ্টেম্বর) মোঃ আজমত আলী বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।এর আগে মঙ্গলবার (৯সেপ্টেম্বর) ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামের এমন ঘটনাটি ঘটে। জমির মালিক মোঃআজমত আলী ধামরাই উপ জেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামের মোঃ আব্দুল আলীর ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামের মৃত আব্বাস মোল্লা ছেলে মোঃ পলাশ মোল্লা, আলামিন মোল্লা ও বকুল মোল্লা, মৃত লালচান মোল্লার ছেলে মোঃ হাদিস মোল্লা এবং হাদিস মোল্লার ছেলে মোঃ শ্যামল মোল্লা।
স্থানীয়রা জানান,রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামে মোঃ আজমত আলীর ব্যাক্তিগত জমির ওপর দিয়ে জোর করে ব্যাক্তিগত ভাবে চলাচল করার জন্য রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করে পলাশ মোল্লা। এতে বাঁধা দেন আজমত আলী,পরে পলাশ মোল্লা ও তার ভাই এবং চাচারা মিলে আজমত আলীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন করে তারা।পরে আশে পাশের লোকজন দৌড়িয়ে গিয়ে আজমতকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই বিষয়ে পলাশ মোল্লার চাচা মোঃ হাদিস মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমরাসহ আরও কয়েকটি বাড়ীর লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা জমে। সেই জন্য পলাশ রাস্তাটি সংস্কার করে ইট বিছানোর জন্য কাজ করতে গেলে আজমত এসে বাঁধা দেয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,এলাকায় এদের দাপটে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ তাদের নামও বলতে চায় না নির্যাতনের ভয়ে।
এই বিষয়ে আজমত আলী বলেন, আমার ব্যাক্তিগত জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে পাকা করতে চায় পলাশ,আমি বাঁধাদিলে পলাশ ওতার ভাই এবংচাচারা মিলে আমাকে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে ফরিঙ্গা কাচাঁবাজারে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।পরে আমার প্রতিবেশীরা দৌড়িয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার(ওসি অপারেশন) দেবাশীষ বলেন,অভিযোগ পেয়ে ঘঠনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত চলছে,উভয়ের কাগজপত্র দেখে তদন্ত শেষে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।