মোঃ সবুজ, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ-ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী-লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সুন্দরী স্ত্রীর সাথে গভীর পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ এনে সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নেতার অফিসে আটক করে মধ্যযুগীয় কায়দায় মোঃ আবুল হোসেন নামে এক তরুণকে অমানুষিক নির্যাতন চালান সেই প্রভাবশালী আওয়ামী-লীগের নেতা মোঃ আব্দুল গনি সুমন। গত সোমবার (২৬জুলাই) এমন ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সুত্রাপুর গ্রামে। আবুল হোসেন উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সুত্রাপুর গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে।
ভুক্তভুগি পরিবার সুত্রে জানাযায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আবুলের ফোনে একটি কল আসে সেই কলে কথা বলতে বলতে আবুল বাড়ী থেকে চলে যায়। রাত ১০টার সময় খবর পায় আবুলকে আওয়ামী-লীগের নেতার অফিসে আটক করে বেধরক মারধর করেছে। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে আবুল হোসেন নাকি আওয়ামী-লীগের নেতার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম করেছে। যার কারণে আবুলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আওয়ামী-লীগের নেতা আবুল গনি সুমনের আফিসে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে ১৫লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পর সেই টাকা ধরকষাকষির মাধ্যমে ৫লাখ টাকা রায় দেয় নেতা আবুল গনি সুমন। এর পর আবুল হোসেনের বাড়ীতে আওয়াল ও মকুল গিয়ে নগদ ১লাখ টাকা নিয়ে আবুল হোসেনকে ছেড়ে দেয় এবং শর্ত দেওয়া হয় বাকি ৪লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে না দিলে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান পরিবারের লোকজন।
পরের দিন খবর শুনে আবুল হোসেনের ছোট ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ী এসে এর ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার লোকজনের কাছে বিচার দাবি করেন। বিচারের দাবি জানানোর কারণে গ্রামের লোকজনের সামনে তাকে বেধরক মারধর করে আওয়ামী-লীগের নেতা আব্দুল গনি সুমন। কিন্তু নিরব ভুমিকায় দাড়িঁয়ে থেকে এই দৃশ্য দেখা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না গ্রামের লোকজনের। গ্রামের লোকজন আওয়ামী-লীগের নেতার সামনে একটি টু- শব্দ করার সাহস কেউ পায়নি বলে জানান আনোয়ার। এই ছাড়া এই ঘটনা নিয়ে যদি বারাবারি করছ তাহলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন আওয়ামী-লীগের নেতা আবদুল গনি সুমন এবং আউয়াল ও মুকুল।
এই বিষয়ে আবুল হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে আবুল তুই একটু নেতা গনির বাড়ীতে আস। তখন আমি তাকে বললাম কেন। সে বললো দরকার আছে নেতা ডেকেছে। তখন আমি গনির অফিসে কাছে গেলে আউয়াল ও মুকুল আমাকে কলার ধরে বলে তোর কত বড় সাহস তুই নেতার বউ এর সাথে পরকীয়া করছ। আমি বললাম না। না বলার সাথে সাথে আওয়ামী-লীগের নেতা আব্দুল গনি সুমন আমাকে খুটির সাথে বেধেঁ মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে। আমাকে বলে ১৫লাখ টাকা না দিলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এর পর আমি তাদের হাতে পায়ে ধরলে ৫লাখ টাকায় সমাধান করে নেতা গনি। এর পর আমার বাড়ীতে গিয়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে ১লাখ নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। সাত দিনের মধ্যে বাকি টাকা না দিলে আমাকে মামলায় দেওয়া হবে জানান নেতা গনি।
এই বিষয়ে বালিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী-লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি সুমন বলেন, আমি আবুলকে মারধর করেনি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
এই বিষয়ে কাওয়ালী পাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, মারধর করে টাকা আদায়ের বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।