হুমায়ুন রশীদ, ধামরাই, ঢাকা। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সহ ৪ সাংবাদিকসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অবৈধভাবে বহিষ্কার করা পাঁচ সাংবাদিকের সদস্যপদ পূর্নবহালের দাবিসহ বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আশুলিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপিত মোজাফফর হোসেন জয়, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ৩ নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করায় এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে এ ঘটনায় আশুলিয়ায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আশুলিয়া প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি ওমর ফারুক। এর আগে সোমবার (৫ জুন) রাতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ওমর ফারুকের বাসার নিচে বে-নামি চিঠি গুলো পড়ে থাকতে দেখেন বাসার কেয়ারটেকার। জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অবৈধ ভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করে ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। যে তালিকায় চলতি কমিটির সহসভাপতি ওমর ফারুক, যুগ্-সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লিটন, দপ্তর সম্পাদক মনির মন্ডল ও নির্বাহী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম রাজু এবং সাধারণ সদস্য সোহেল রানার নাম বাদ দেওয়া হয়। সেই সাথে এদের বাদ দিয়ে ৮ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তখন অবৈধ তফসিলের বিরুদ্ধে মোঃ ওমর ফারুক বাদী গত ইং ২৫ মে সিনিয়র সহকারী জজ সাভার আদালতে একটি মামলা (মামলা নং-৪৫২/২৩) দায়ের করেন। সেই মামলায় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাফফর হোসেন জয় ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লিটন সহ ৩ নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গত ১ জুন আশুলিয়া প্রেসক্লাবের ৮ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করার আদেশ দেন।আদালতের আদেশে ৮ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত হয়। সেই কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে এ বেনামি চিঠি পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ওমর ফারুক বলে, গত ৫ জুন সোমবার রাতে আমার বাসার নিচে পড়ে থাকা ৪ টি বে-নামি চিঠি দেখতে পায় বাসার কেয়ারটেকার। পরে সে চিঠি গুলো তুলে আমার নাম লিখা দেখতে পেয়ে চিঠি গুলো আমার কাছে দেয়। চিঠি খুলে পড়ে দেখি তার মধ্য লেখা আছে ৮ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছি উল্লেখ করে আমাকে ও আমার চার সহকর্মীর পরিবার উল্লেখ করে হত্যাসহ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। তার পর থেকে আমরা ও আমাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি আরও বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে চিঠি দেওয়ার বিষটি জানিয়েছি এবং জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের-কে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি। সেই সাথে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৫২৬) করা হয়েছে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।